নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি মানুষের নাগরিক অধিকার। ২০১৩ সালে প্রণীত হওয়া নিরাপদ খাদ্য আইনে এ অধিকার বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। আইন প্রয়োগে যেমন অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তেমনি সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বিভাগীয় প্রশাসন চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের কমিটমেন্ট আর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার আশ্বাস আমাদেরকে আশান্বিত করেছে নতুন মাত্রায়। আয়োজনের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সমন্বিত ত্রুটি থাকলেও অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ এবং সুশৃঙ্খল আচরণ আমাদের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সহায়কের ভূমিকা পালন করেছে। পাঁচ শতাধিক মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে র্যালী করা দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সবাই একাত্ম থেকেছে সর্বস্তরে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে। আর আজকের কর্মসূচির সবিশেষ আকর্ষণ ছিল মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃঢ় নের্তৃত্বসুলভ নির্দেশনামূলক ভাষণ। তাঁর সীমাহীন প্রজ্ঞামিশ্রিত অঙ্গীকার ও মানুষকে উদ্বুদ্ধুকারী ক্যারিসম্যাটিক বক্তব্য কর্মশালাটিকে নতুন মাত্রায় সর্বস্তরের অংশীজনদের মধ্যে বৃহত্তর সাড়া ফেলতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানের আরও বিশেষত্ব ছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র মহোদয়ের বাস্তবতার আলোকে এ বিষয়ে আন্তরিকতাপূর্ণ ভাষণ এবং খাদ্য মন্তণালয়ের সম্মানিত সচিব মহোদয়ের বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্য। আর বিশেষজ্ঞের অভিজ্ঞতাময় উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে জনাব নুরুল আফসার, এনটিএল এফএও এবং জনাব মঞ্জুর মোর্শেদ, সদস্য বিএফএসএ কর্মশালাটিকে যথার্থ অর্থেই কার্যকর করেছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়ও খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতকরণে সবাইকে সচেতন হবার পরামর্শ দিয়ে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (BFSA) এর চেয়ারম্যান মহোদয় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভেজালের বিরুদ্ধে কাজ করা এবং এ বিষয়ে সম্যকরূপে সচেতন হবার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। মন্ত্রী মহোদয় এবং চেয়ারম্যান মহোদয় খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ে অংশগ্রহণকারীগণের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলাপ্রশাসকগণের প্রতিনিধি কর্মকর্তাগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সবাইই কথা বলেছেন মতামত দিয়েছেন। আমরা এ কর্মশালা থেকে করণীয়গুলো অচিরেই সমন্বিত করে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবো।