রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) সারাদেশে নানা আয়োজনে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২০’ উদযাপিত হয়েছে।
সবাই মিলে হাত মেলাই, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই’ স্লোগানে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করে নতুন প্রজন্মকে ভেজাল খাদ্যের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মুজিববর্ষে আমরা সবাই অনিরাপদ খাদ্যমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গীকার করছি। আসুন, সবাই এক সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সমাজের সব স্তরের জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করি। আমরা শপথ নেই ভেজাল নিজে দেবো না, ভেজাল খাবোনা, ভেজাল দিতে দেবো না।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে নানা আয়োজনে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।
খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুবুর কবীর, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। র্যালিটি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সবাই মিলে হাত মেলায়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই’।
দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। দেশব্যাপী জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২০ উদযাপন করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রতিটি জনগণের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের একটি খাদ্যের অধিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু দেশের জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে এখনও আমরা সম্পূর্ণরূপে সফলতা অর্জন করতে পারিনি।
তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন হতে শুরু করে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন ধাপে খাদ্যদ্রব্য অনিরাপদ হচ্ছে। মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে জীবনের শক্তি অর্জন ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু ভেজাল ও ক্ষতিকর খাদ্য মানুষের জীবন শক্তি কেড়ে নিচ্ছে ।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মহান জাতীয় সংসদে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ পাস হয়, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে এবং সারাদেশে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় নিয়ামক। এজন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে।