সৈয়দা সারওয়ার জাহান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা , চাকরির শুরুতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় খুলনায় প্রবেশন পিড়িয়ডে দায়িত্ব পালন করেন এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কক্সবাজারে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এবং পরে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অত:পর আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্রগ্রামে সহকারী পরিচালক, চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট, চট্রগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট, ফেনী ও চট্রগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে চট্রগ্রামে, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তিনি রসায়নশাস্ত্র, সমাজতত্ত্ব ও আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। সরকারি দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালী, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, গ্রীস, তুরস্ক, মরক্কো, জর্ডান ও জার্মানীতে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ, মিটিং ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন।
সৈয়দা সারোয়ার জাহান ভেজালবিরোধী অভিযানে ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম নেতৃত্ব দেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিষ্ট্রেট থাকাকালীন তিনি খাদ্য ভেজালবিরোধী অসংখ্য সাহসী অভিযান পরিচালনা করে জনগণের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।
এর আগে তিনি সিডিএ’র ম্যাজিষ্ট্রেট থাকাকালীন অবৈধ দখলদার থেকে সরকারের বহু সম্পত্তি উদ্ধার করেন। জেলা পরিষদ চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করে সরকারের উন্নয়নকে জনগণের দোর গোড়ায় পৌছানোর জন্য তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন। বেকার যুব ও যুব মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের জন্য জেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন। জেলা পরিষদের অনেকগুলি রিট মামলা নিষ্পত্তিসহ অবৈধভাবে দখলকৃত জেলা পরিষদের বহু সম্পত্তি উদ্ধার করে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে জেলা পরিষদের আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি করেন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালীন পরিত্যক্ত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারসহ অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করেন।